রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
জিয়াউর রহমান, কানাইঘাট (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা: কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির একটি গ্রামের নাম নারাইপুর। গ্রামের নামটি সবার চেনা গাছবাড়ীস্থ ও নারাইপুর গ্রামটি যেন এক আলাদা সাম্রাজ্য। মারামারির জন্য স্বমহিমায় এরা খ্যাতিমান রাত পেহালেই খুন ও ডাকাতি সঘর্ষ তাই সাধরণ মানুষ এই গ্রামের নাম শুনলে আতংকে উঠে। আতংকে উঠে গুড়া জনপদ কে যেন হারায় কার ছেলে কে যেন হায়ার কার বাবা কে যেন হারায় ভাই। স্ত্রী যেন স্বামী হারা হয়ে যায় তার তার আতংকের মধো মানুষ এই গ্রামের ধারে পান্তে গেলে সাধারণ মানুষের মধো যেন এক ভয়ংকর পরিস্থিতি কথা মনে হয়। হাজার জনসংখ্যার এ গ্রামের নারী ও শিশুরা রাতে প্রাকৃতিক প্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হতে চায় না, কারণ এমনকি, রমজানে জানাযার নামাজে গিয়েও দু’পক্ষ সংঘর্ষে এমনকি, রমজানে জানাযার নামাজে গিয়েও দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
চলুন দেখা যাক কারণ ও ভয়ংকর পরিস্থিতি কী দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ গ্রামে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিরাজমান। সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে গ্রামের মোড়লদের অধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলছে শক্তির লড়াই। ধারাবাহিকতায় মোড়লদের কারনে বর্তমানে আগফৌদ নারাইনপুর গ্রামটি দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন ও অপর পক্ষে সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান। এ পর্যন্ত দীর্ঘ কয়েক মাসে তারা বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের অন্তত ৪ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। যার কারনে বছরখানিক ধরে নারানপুর গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে অশান্তি বিরাজ করছে। গ্রামে এমন অবস্থা হয়েছে যে, কোন পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ভয়ে একা চলা ফেরা পর্যন্ত করেন না। তারা আদিম যুগের মত দলবদ্ধ হয়ে হাতিয়ার নিয়ে চলা ফেরা করতে হয়। কারন কবে কার উপর হামলা হবে এই ভয়ে। এমনকি মাঝে মধ্যে সারা গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এখানে যে, শুধু মারামারি তাই নয়, বার্মার রোহিঙ্গা বসতির মত জ্বালাও পুড়াও করতে তারা কমতি রাখেনি। যার কারনে নিয়মিত অভিযানের পাশাপশি মাসখানিক পূর্বে তাদের গ্রামে ব্লকরেড অভিযানও হয়েছে। গ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ দোষীদের যাকে পাচ্ছে তাকে গ্রেফতার করছে।